সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কেন কেউ তার পরিবারের সদস্য থেকে রক্ত নিতে পারে না?

  আসলে দারুণ একটা প্রশ্ন । ব্লাড ডোনেট সম্পর্কে এটা অনেক জিজ্ঞাসিত ও অত্যন্ত গুরত্বপূর্ন একটা প্রশ্ন। ছোট করে উত্তর শুনতে হলে বলি, আপনজনের কাছ থেকে রক্ত নিলে “transfusion-associated graft versus host disease” (TA-GvHD) ছড়ানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রক্রিয়াটি একটু জটিল কিন্তু এটাকে সহজভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব। যখন আপনি কোন র‍্যান্ডম ডোনারের থেকে এক প্যাকেট রক্ত নেন, আসলে আপনি যা নেন তা হচ্ছে প্যাকেট ভর্তি লোহিত রক্ত কনিকা । প্লাজমা, শ্বেত রক্তকনিকা , অনুচক্রিকা সরিয়ে ফেলা হয় যতটা পারা যায়। একেবারে নিখুত করা যায় না, কিছু পরিমান লোহিত রক্তকনিকা আর প্লাটিলেট প্যাকেটে থেকেই যায়। এগুলো রক্তগৃহীতার জন্য ঝুকির কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং মাঝে মাঝে জীবন বিপন্ন করে ফেলে। এই ঝুকিগুলোর একটা অংশ আসে ডোনারের শ্বেত রক্তকনিকা থেকে। নির্দিষ্ট করে বললে T-cells থেকে। T-cell হচ্ছে আমাদের প্রতিরক্ষা সিস্টেমের বস। T-লিম্ফোসাইট এর অপর নাম। এইটা লাস্ট লাইন ডিফেন্স সিস্টেম কিন্তু সবচাইতে শক্তিশালী লাইক ম্যানুয়েল নয়ার। এরা বোঝে কোন কোষটা আমাদের দেহের কোনটা বাইরের। যখন আমাদের দেহে বাইরে থেকে রক্ত আসে, ডোনারের দেয়া রক

Sea Navigation (তারা থেকে জি পি এস এর পথচলা)

  “If you want to learn to pray, go to sea.” —Portuguese proverb “...অথবা খুব বিশাল সমুদ্রের মাঝে, হারিয়ে যাওয়ার মত..." এভয়েড রাফার কষ্ট গানের এই লিরিক্স দিয়ে বোঝা যায়, কষ্ট আসলে সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়ার মত। 🙂 আপনার মনে কখনো প্রশ্ন জাগে না? যেখানে আমরা নিজেদের পাড়ার মধ্যেই হারিয়ে যাই, এই বিশাল সমুদ্র, মহাসমুদ্রে আমরা হারাই না কেন?  হারিয়েছিলাম একসময়। অনেক দক্ষ নাবিক, ক্রু, জাহাজ হারিয়েছিলাম। কিন্তু আস্তে আস্তে আমরা এই সমস্যা সমাধানের পথ বের করে নিয়েছি। সেটা অবশ্যই এক দিনে হয়নি, কয়েক শতাব্দি লেগেছে! ন্যাভিগেশন ব্যতীত, আমরা খুব সম্ভবত  সমুদ্রের কাছে হারিয়ে যাব। ন্যাভিগেশন প্রাচীন প্রাথমিক সভ্যতার পক্ষে নতুন দ্বীপ আবিষ্কার করা, বাণিজ্য রুট স্থাপন এবং বিশ্বের অন্য পাশের লোকের সাথে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়েছিল। ন্যাভিগেশন মৎস্যজীবীদের বিদেশের সমুদ্র বন্দরে নিরাপদে যাত্রা করার জন্য ও তাদের বাড়ি এবং বাণিজ্য জাহাজগুলি খুঁজে পাওয়ার সুবিধা দেয়। আজ, ন্যাভিগেশন অনেক নিখুত ও সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য ন্যাভিগেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে জাহাজ, বিমান এবং ট্রাককে নির্দেশ দিয়ে বৈশ্বিক অর্থনীত

বামন গ্রহ ( টেল অব ফাইভ ডোয়ার্ফ প্লানেট)

  বামন গ্রহ - মাহতাব মাহদী  সাল ২০০৬, ২৪ আগস্ট।   চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ – এ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন (IAU) – এর অধিবেশন বসেছে। সাংবাদিকরা অপেক্ষা করছেন। অধিবেশনে বোমা ফাটাল IAU! সৌরজতের ৯ম গ্রহ প্লুটোকে আর গ্রহ না বলে বামন গ্রহ বলা হলো! সাথে তারা আরো দুটো বামন গ্রহের কথা জানাল। জেনা (এখন এরিস) আর সেরেস!  ক্লাইড টমবাউ বেঁচে থাকলে খুব কষ্ট পেতেন। কারণ ১৯৩০ সালে তাঁর আবিষ্কার করা প্লুটোকে গ্রহের তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো ২০০৬ সালে! বিজ্ঞান মহলে একটা উত্তেজনা দেখা গেল। কারণ এর আগে কখনোই গ্রহের সাথে বামন টার্মটা ব্যবহার করা হয়নি। শুধুমাত্র বামন নক্ষত্র ছিল। ফলে এটা একটা নতুন আবিষ্কার। তো বিজ্ঞানীদের অনেক প্রশ্ন ছিল। সবার প্রথমে যে প্রশ্নটা ওঠে সেটা হচ্ছে-     বামন গ্রহটা কী আসলে? “বামন” (dwarf) কথাটির আভিধানিক অর্থ ছোটো আকার বা খর্বাকৃতি। সুতরাং, বামন গ্রহ বলতে বোঝায় ছোটো আকারের বা খর্বাকৃতির গ্রহ। এই সংজ্ঞাটি বর্তমানে কেবল সৌরজগতের জন্যই প্রযোজ্য। প্লুটো গ্রহটিকে নিয়ে বিতর্ক ও উঠার পর উক্ত প্রতিষ্ঠানটি বামন গ্রহের সংজ্ঞা নির্দিষ্ট করে প্লুটোকেও বামন গ্রহের তা