সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কল

-  ন্যাশনাল এমারজেন্সি সার্ভিস থেকে মাহমুদ বলছি। কিভাবে সাহায্য করতে পারি? - “ ...খুন” - দুঃখিত ম্যাডাম , আপনাকে ঠিকমত শুনতে পারিনি। আপনার সাহায্যের কারণটি আরেকবার বলবেন দয়া করে।  - খুন হয়েছে।  - দুঃখিত ম্যাডাম, আপনি কি একটি খুনের রিপোর্ট করতে চাচ্ছেন?  - হ্যা।  - আচ্ছা ম্যাডাম,  আপনি কোথায় আছেন ? আমরা সাহায্য পাঠাচ্ছি। জানি না।  - আপনি জানেন না আপনি কোথায় আছেন? - হ্যা।  - আপনার আশেপাশে কি কিছু লক্ষ্য করতে পারছেন? - হ্যা। অন্ধকার।  - ম্যাডাম আপনার আশেপাশে কেউ থাকলে তাকে একটু ফোনটা দিবেন দয়া করে।  - আমি একা আছি।  - ম্যাডাম, আপনার নাম কি? - মাহিরা । মাহিরা  আলম।   - তো মাহিরা, আপনি বলছিলেন একটা খুন হয়েছে। কিভাবে বুঝলেন?  - আমি মেরে ফেলেছি।  - আচ্ছা।  - হ্যালো?? - জি মাহিরা, আপনি একটু ফোনে আমাদের সাথে কানেক্টেড থাকুন। আমি আপনাকে এখন বেশ কিছু প্রশ্ন করব। ভেবে চিন্তে সেগুলোর উত্তর দিবেন।  - আচ্ছা। - কে খুন হয়েছে?  - মাহি। - মাহি কে আপনি চেনেন? - হ্যা। - কে হয় আপনার সম্পর্কে? - আমার হাসবেন্ড।  - আচ্ছা। তো মাহির সাথে আসলে কি হয়েছিল? - জানিনা। - মাহি কি আপনার আশেপাশেই? - না। - আপনি জানেন মাহি

একজন অস্তিত্বহীন গনিতজ্ঞ

 Structures are the weapons of the mathematician. — Nicolas Bourbaki উপরের কথাটি বলেছেন ফ্রান্সের একজন গনিতবিদ। নিকোলাস বোরবাকি। সারাবিশ্বে অনেক পরিচিত এই গণিতবিদ। টপ ২৫ গণিতবিদের একজন। তার লেখা বই , থিওরি এখনো ব্যাবহার হয় বিশ্বের অনেক জায়গায়। তবে তাকে নিয়ে লোকজনের শুধু একটাই ছোট্ট সমস্যা। সেটা হচ্ছে, এই মানুষটার আসলে কোন অস্তিত্ব নেই। মানে, নিকোলাস বোরবাকি নামে যে বিশ্বসেরা গণিতবিদ , উনি আসলে নেই। আমেরিকান ম্যাথমেটিকাল সোসাইটি হল বিশ্বের সেরা গণিত সংগঠনের মধ্যে একটা। অনেকটা বিশ্বের ম্যাথ ক্লাব এর মত যেখানে বিশ্বসেরা গণিতবিদেরা আবেদন করেন যুক্ত হওয়ার জন্য এবং তার কাজ কর্ম বিবেচনায় তাকে সেই এলিট ক্লাবের অংশ করা হয়। নিকোলাস বোরবাকি ১৯৫০ সালে এই ক্লাবে যুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেন, তাকে না করার কোন কারণ ছিলনা ম্যাথমেটিকাল সোসাইটির কাছে। কিন্তু এরপরেও তিনি এই ক্লাবের অংশ হতে পারেননি। কারণ তিনি আসলে অস্তিত্বমান নন। ২০ বছর ধরে পুরো দুনিয়া বোরবাকির নামে ধোকা খেয়ে এসেছে। একটু পেছনে ফিরে যাওয়া যাক। ১৬ বছর পেছনে ১৯৩৪ সালে।ফ্রান্সের প্যারিসের École normale supérieure এর 5 জন স্টুডেন্ট লাতিন কোয়াটা

পেগাসাস কি? কেন এটা খারাপ?

 দুটো ঘটনা তুলে ধরি। প্রথমত, কোন সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেমে ভুল থাকতেই পারে। মানুষ মাত্রই ভুল করবে। এই ত্রুটি গুলোকে বলে বাগ। এই বাগগুলো ঠিক করার জন্য প্রতিটা সফটওয়্যার কোম্পানী প্রচুর টাকা খরচ করে পোগ্রামারদের , ইঞ্জিনিয়ারদের পেছনে । আবার মাঝে মাঝে অন্য কেউ বাগ ধরিয়ে দিলেও বিশাল পরিমান অর্থ দেয় কোম্পানীগুলো। উদাহরণস্বরূপ , আপনি যদি গুগলের কোন বাগ ধরিয়ে দেন, গুগল তা খুজে দেওয়ার জন্য আপনাকে ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ ডলার পে করবে শুধুমাত্র বাগ খুজে দেওয়ার জন্য। এই বাগগুলো ঠিক না করলে সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেমটার নিরাপত্তাহানী ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তারা সেটা পরবর্তিতে আপডেট আকারে সংশোধন করে দেয়। ধরুন অপারেটিং সিস্টেমটি একটা বাড়ি, যার বাহিরে একদল পোগ্রামার ও ইঞ্জিনিয়ার নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছে। এই বাগগুলো হল একেকটা সিক্রেট দরজার মতো। যা নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এখন মনে করুন , কেউ একজন একটা বাগ খুজে পেল। কিন্তু সেটা আর সফটওয়্যার কোম্পানীকে জানালো না। সে কি করল, ঐ বাগটাকে কাজে লাগিয়ে সফটওয়্যারের ভেতরে সে নিজের স্বার্থে পরিবর্তন আনল। এই যে বাগ , যা সম্পর্কে অন্য কেউ জানে , তবে সফটওয়্যারের