সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নিউক্লিয়ার বিপর্যয় (পর্ব ৪)

থ্রি মাইল আইল্যান্ড,হ্যারিসবার্গ, পেনসেলভেনিয়া,যুক্তরাষ্ট্র "আমেরিকার নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্রকল্প মারা গিয়েছে। এটা মারা গিয়েছে থ্রি মাইল আইল্যান্ডে।" প্রতিটা নিউক্লিয়ার বিপর্যয়ের একটা কারণ থাকে। চেরেনোবিলের ঘটনার পেছনের কারণ ছিল এক্সপেরিমেন্ট। ফুকিশিমা ট্রাজিডির পেছনের কারণ ছিল সুনামি। থ্রি মাইল আইল্যান্ডের দুর্ঘটনার কারণ ছিল যান্ত্রিক ত্রুটি। যদিও বা চেরনোবিল ট্রাজিডির ৬ বছর আগেই হয়েছিল এ দুর্ঘটনা। ফুকুশিমা বা চেরেনবিল ট্রাজিডির থেকে এই দুর্ঘটনাতে অনেক কম ক্ষতি হয়েছিল। আমেরিকার মতে এই দুর্ঘটনায় কোন মানুষ মারা যায় নি। যদিও বা এ নিয়ে বিতর্ক আছে,তবুও আমরা রিপোর্ট এর তথ্যটাকেই সত্য বলে মনে করব। বিস্তারিত তথ্যের জন্য কমেন্টে রিপোর্ট টা রাখলাম,দেখে নিতে পারেন। T.M.I বা থ্রি মাইল আইল্যান্ড চালু হয় ১৯৭৪ সালে। চালু হওয়ার পর হ্যারিসবার্গ,পেনসেলভিনিয়ার মানুষজন বিরোধিতা করেন।সঠিক বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা না করায় এটা বন্ধ করার দাবি ওঠে। নকশা ত্রুটিপূর্ণ দাবি করে এ নিয়ে আন্দোলন ও শুরু হয়। তার মধ্যেই ঘটে যায় এ ট্রাজিডি। ২৮ মার্চ ১৯৭৯ সাল। বিকাল ৪ টা। T.M.I এর দুটো রি এক্টর ছিল। দুটো মিলে ১

নিউক্লিয়ার বিপর্যয় (পর্ব 3)

১১ মার্চ ২০১১। দিন চলছে দিনের মতনই। ফুকুশিমার রিএক্টরর ও চলছে ভালোভাবেই। ৬ টা রিয়েক্টরের ৪ টা চলছে,বিদ্যুত তৈরি করছে।হাজারো ইঞ্জিনিয়ার আর লোক তাদের শিফটে কাজ করছেন। মাসাও ইউশিডা। ফকুশিমা দাইইচি পাওয়ার প্লান্টের ম্যানেজার। দুপুরের লাঞ্চ শেষ, পাওয়ার প্লান্ট একবার চক্কর দিয়ে আসাও শেষ। সব প্লান মোতাবেক ঠিক ঠাক চলছে। সুপারভাইজার কে সব বুঝিয়েও দেয়া হয়েছে।তাহলে এখন একটু জিরিয়ে নেয়া যাক। সামনে থাকা বইটি নিয়ে পড়া শুরু করলেন।বেশ অনেকবছরের অভ্যাস এটি। বই না পড়লে তার ভালোই লাগে না। সময় টা ঠিক মনে নেই। দুপুর ৩.১০-৩.১৫ এর মাঝামাঝি বা আশেপাশে। হটাৎ তার হাতের বইটা কাপতে শুরু করল। না বয়সের কারণে তার হাত কাপছে না। রিখটার স্কেলে 9 মাত্রার ভূমিকম্প। দিলেন দৌড়। তবে সতর্ক সংকেত চালু করতে ভুলে যান নি। সব লোক সাবধানতা অবলম্বন করল। কিছুক্ষন পর সব ঠিক। বের হয়ে আসলেন তিনি সুপারভাইজার দের নিয়ে জরুরী মিটিং ডাকলেন।সুপারভাইজাররা রিপোর্ট করে জানাল কোথাও কোন সমস্যা নেই তবে রিএক্টর ৬ এ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু ঐ রি এক্টর তো চালু নেই,তাই প্যারাও নেই। টোকিও পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউট কোম্পানীর কাছে একটা খবর পাঠিয়ে দি

নিউক্লিয়ার বিপর্যয় ( পর্ব ২)

বাংলাদেশের রূপপূর পারমানবিক প্রকল্পের দ্বায়িত্ব পেয়েছে একটা রাশিয়ান একটি কোম্পানি। ইতিহাস থেকে জানা যায় সেই কোম্পানি নিজ দেশের একটা পাওয়ার প্লান্টেই বিরাট ঝামেলার সৃষ্টি করেছিল।সে কোম্পানি আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশের পাওয়ার প্লান্টে কি রকম কাজ করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। ষাটের দশকে এই রূপপুরেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রিঅ্যাক্টরের চারপাশে নিরাপত্তা ব্যুহ (containment building) ছাড়াই ৪০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরীর পরিকল্পনা প্রস্তাব জমা দিয়েছিল রাশিয়া। নিরাপত্তা ব্যুহের অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে তখনও দম্ভভরে বলেছিল, আমাদের রিঅ্যাক্টর ডিজাইনে কোন খুঁত নেই, তাই এর চারপাশে ব্যুহ তৈরীর প্রয়োজন নেই। অথচ এর কিছু কাল পরেই ১৯৮৬ সালে তাদের নিজেদের কেন্দ্রেই ঘটে চেরনোবিল দূর্ঘটনা যাতে নিরাপত্তা ব্যুহ না থাকার কারণে তেজস্ক্রিয় দূষণ ছড়িয়ে পড়ে তাৎক্ষণিকভাবে। (Matin, 2012) এখন ১১ নাম্বার আপডেটেড প্রযুক্তি ব্যাবহার করে তৈরি করা হচ্ছে আমাদের পাওয়ার প্লান্ট।এর সহ্যক্ষমতা নিয়ে বলা হয়েছে এটা ১০ মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে! আবার এদিক দিয়ে দেখা যায় পাবনায় রূপপূরে কয়েক দশকের মধ্যে ভূমিকম্প

নিউক্লিয়ার বিপর্যয় (প্রথম পর্ব)

আমার মনে আছে এক শীতের রাত ২.০০ টার দিকে আমি HBO তে চেরেনবিল সিরিজ দেখেছিলাম এবং তার পরের ২ রাত আমার ভালো করে ঘুম হয় নি। সোভিয়াত ইউনিয়নের মতে চেরনোবিল বিষ্ফোরনে মারা গিয়েছিল মাত্র এবং মাত্র ৩১ জন।মাত্র সাড়ে তিন হাজার মানুষকে কিভাবে ৩১ জনে পরিনত করতে হয় তা তৎকালিন সোভিয়াতের প্রেসিডেন্ট মিখাইল গরভাচেভের চাইতে ভালো কেউ বলতে পারবে না। আপনি এখন নিরাপদ সেটা বলতে পারেন? দেশেই হচ্ছে এমন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট।যদিও বা প্রযুক্তি আগের চাইতে অনেক উন্নত। তার আগে চলুন চেরনোবিলের ঘটনা টা দেখে আসি। ২৬ এপ্রিল ১৯৮৬। অন্য সব দিনের মতই সাধারন। কিন্তু প্রিপয়েত শহরের ৩ কোটি মানুষ তাদের জীবনের শেষ দিনগুলোতে চলে এসেছে। প্রায় ভোর ভোর অবস্থা। এমন সময় বুমমম! ইয়ানিভ রেলস্টেশন থেকে হাজারো প্রিপাত বাসী দেখছে নীল আগুন। ৪ কিলোমিটার দূর খেকেও স্পস্ট দেখা যাচ্ছে আগুন। তারা জানে তারা আগুন থেকে নিরাপদ তবে তারা জানে না তারা তেজস্ক্রিয়তা থেকে নিরাপদ নয়। এই যে এত বড় বিস্ফোরন,কোটি মানুষের মারা যাওয়া সবার পেছনে আছে এক জঘন্য গল্প। যে গল্পে মানুষ প্রমান করেছে তারা কতটা স্বার্থন্বেষী। আলেক্স আকিমভ। সুপারভাইজার হিসেবে লোকটা দা