সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Curiosity মার্স রোভার (95 মিলিয়ন কিলোমিটার দূরের মঙ্গলে মানবজাতির প্রতিনিধি)

  Curiosity মার্স রোভার (95 মিলিয়ন কিলোমিটার দূরের মঙ্গলে মানবজাতির প্রতিনিধি)  এই শীতের বিকালে যখন আপনি আমি যখন কম্বলের নিচে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে আছি তখন ঠিক আমাদের পৃথিবী থেকে 95 মিলিয়ন কিলোমিটার দূরের মঙ্গল গ্রহে একটি যন্ত্র মানবজাতির প্রতিনিধি হিসাবে মঙ্গলে বসবাস করছে। 1997 সালের 4 ই জুলাই থেকে শুরু করে আজ ২০২০ সালে মঙ্গলে মানবজাতির প্রতিনিধি হিসাবে রোভার ছিল এবং আছে।এখন পর্যন্ত ৬ টা রোভার মঙ্গলে পাঠানো হয়েছে যার মধ্যে একটা মাত্র সচল আছে। তবে কিছুদিনের মধ্যে সেখানে আরেকটি রোভার নিক্ষেপনের প্লানিং চলছে।  চিত্রঃ মার্স রোভারের মডেল।  অনেক আগ থেকেই মঙ্গলের মানবজাতি তাদের দ্বিতীয় বসতি স্থাপন করার জন্য চেষ্টা করছে।  কিন্তু বললেই তো আর কোন গ্রহে মানব বসতি স্থাপন করা সম্ভব না।  আগে সে গ্রহটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হয় জানতে হয় । সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন আছে কিনা, পানি আছে কিনা বা  বেঁচে থাকার জন্য যে আবশ্যকীয় উপাদানগুলো দরকার সেগুলো আছে কিনা । এগুলো জানার জন্য সরাসরি স্যাম্পল ও খুব কাছ থেকে ছবি দেখা দরকার হয়। তাই মানুষ এসব তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ও বিস্তারিত জানতে মঙ্গলে রোবোট প

মহাবিশ্বের শেষ তারাটি ( Red dwarf aka গরিব লাল বামন)

মহাবিশ্বের শেষ তারাটি ( Red dwarf aka গরিব লাল বামন) আজ থেকে হয়তো অনেক অনেক অনেক দিন পরে, একটা নিঃসঙ্গ তারা একা একা ঝুকছে, তার আশেপাশের সমস্ত তারা মারা গিয়েছে আগেই, সেই টিকে আছে। তারাটি জানে, তার ও বেচে থাকার সম্ভাবনা নেই বেশিক্ষণ, তার এনার্জি প্রায় শেষ। তারাটা নিজের জীবন নিয়ে একটু চিন্তা করলো, সারাজীবন তার আকার ছোটোই ছিল। ছোট হওয়ার কারণে বামন নামের কুটুক্তি শুনতে হতো তাকে। সবাই বলতো, ও বেশিদিন বাচবে না।  সবাইকে ভুল প্রমান করে সে একায় বেচে থাকল,তার আশেপাশের সবাই তাকে কুটক্তি কুটক্তি করতে করতেই মারা গেল, একেবারে উচিত জবাব। এসব ভাবতে ভাবতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল তারাটি। এর সাথেই সমগ্র মহাবিশ্ব হয়ে গেল অন্ধকার। ব্লগ থেকে দেখে নিতে পারেনঃ https://rb.gy/lhq5l3   গুগল ডক থেকে দেখে নিতে পারেনঃ https://rb.gy/rjfowo উপরের গল্পটা রেড ডোয়ার্ফের, বাংলায় লাল বামন। নক্ষত্রটি অনেক ছোট আকারের। এমনকি , শক্তিও খুব বেশি না, আমাদের সূর্যের চাইতেও ঠান্ডা। এর আলোও আমাদের দর্শণ সীমায় নয়। ইনফ্রারেড আলোতে জ্বলে।  ভর? সেটাও অনেক কম। সূর্যের ভরের ৮% থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সূর্যের ভরের ৪০% পর্যন্ত ভর থাকতে পারে। অ

H-R Diagram (কিভাবে আমরা তারা সম্পর্কে আমরা জানি?)

  ৪.৪ আলোকবর্ষ দূরের আলফা সেন্টিরিউ থেকে শুরু করে ৫ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের MACS J1149+2223 । এত দূরের দূরের গ্রহ সম্পর্কে আমরা কিভাবে জানি? তাদের ভর, প্রকৃতি আকার সম্পর্কে আমরা কিভাবে জানি? H-R Diagram দিয়ে | যার  পূর্নরূপ Hertzsprung-Russell Diagram । কারণ তা আবিষ্কার করেছিলেন Ejnar Hertzsprung and Henry Norris Russell  তবে আদি ধারণা ছিল গ্রিক দার্শনিক হিপোকাসের।jজিনিসটা মোটেও জটিল না, খুব সহজে বোঝানোর চেষ্টা করব।  অনেক অনেক দিন আগের এক রাত, গ্রিসের আকাশে অসংখ্য তারা দেখা যাচ্ছে। সেই আকাশের নিচে বসে তারা দেখছিলেন Hipparchus সাহেব। তিনি দেখলেন আকাশের তারাগুলো সব এক উজ্জ্বলতার নয়। কিছু তারা বেশি উজ্জ্বল, কিছু তারা কম। তাই তিনি মনে করলেন উজ্জ্বলতার ভিত্তিতে এদের ভাগ করা যায় । সেটাই করলেন তিনি। উজ্জ্বলতার ভিত্তিতে তারাগুলোকে ৬ টা ক্যাটাগরিতে ভাগ করলেন। ক্যাটাগরিকে ১ ,২ ,৩ এভাবে ৬ পর্যন্ত ধরা যায়। ক্যাটাগরি ১ ছিল সবচাইতে উজ্জ্বল তারা, ৬ ছিল তার দেখা সবচাইতে হালকা আলোর তারা ।  Hipparchus সময় লাইট পলিউশন ছিল না বললেই চলে। তবে, তখনকার দিনে এখনকার মত উন্নত প্রযুক্তি ছিল না। খালি চোখে অনেক তারা

ডার্ক ওয়েব মিথ

মাহতাব মাহদী / তানভীর রানা রাব্বি ডার্ক ওয়েব নিয়ে আমরা সচারচরই অনেক কথা শুনে থাকি। কিন্তু আমরা, সার্ফেস ওয়েব, ডার্ক ওয়েব, ডিপ ওয়েবকে রীতিমত ভুল বুঝি। চলুন আগে সেটা খন্ডন করে আসা যাক।  সার্ফেস ওয়েব: সহজ কথায় সার্ফেস ওয়েব হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের যে অংশ গুগল, বিং এর মতো সার্চ ইঞ্জিনে আন্তর্ভুক্ত থাকে। যেগুলো আপনি গুগল, বিং এর মতো সার্চ ইঞ্জিন গুলো ব্যবহার করে খুঁজে বের করতে পারেন। worldwidewebsize.com -এর হিসাব মতে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত গুগল এবং রিং সার্চ ইঞ্জিনে মোট 5.63 বিলিয়ন ওয়েব পেইজ ইনডেক্স বা অন্তভুক্ত করা হয়েছে। সে হিসেবে সার্ফেস ওয়েবেব মোট সংগ্রহ এতটুকু বলা যেতে পারে, যেহেতু এরাই সবচেয়ে জনপ্রিয়। 5.63 বিলিয়ন কিন্তু কম নয়। তবে ধারণ করা হয়, এটা মোট ওয়েবের মাত্র ১০ শতাংশ। ডিপ ওয়েব: সহজ কথায় ডিপ ওয়েব হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের যে অংশ গুগল, বিং এর মতো সার্চ ইঞ্জিনে আন্তর্ভুক্ত থাকে না। অর্থাৎ এসব ওয়েব পেইজগুলো সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করা থাকে না। এখখ প্রশ্ন আসতে পারে “পেইজগুলো সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করে কে?” উত্তর হলো, যে ওয়েবসাইড ডেভেলপ করে। বিভিন্ন ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন টুল অফার কর