সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মহাবিশ্বের শেষ তারাটি ( Red dwarf aka গরিব লাল বামন)

মহাবিশ্বের শেষ তারাটি ( Red dwarf aka গরিব লাল বামন)



আজ থেকে হয়তো অনেক অনেক অনেক দিন পরে, একটা নিঃসঙ্গ তারা একা একা ঝুকছে, তার আশেপাশের সমস্ত তারা মারা গিয়েছে আগেই, সেই টিকে আছে। তারাটি জানে, তার ও বেচে থাকার সম্ভাবনা নেই বেশিক্ষণ, তার এনার্জি প্রায় শেষ। তারাটা নিজের জীবন নিয়ে একটু চিন্তা করলো, সারাজীবন তার আকার ছোটোই ছিল। ছোট হওয়ার কারণে বামন নামের কুটুক্তি শুনতে হতো তাকে। সবাই বলতো, ও বেশিদিন বাচবে না।  সবাইকে ভুল প্রমান করে সে একায় বেচে থাকল,তার আশেপাশের সবাই তাকে কুটক্তি কুটক্তি করতে করতেই মারা গেল, একেবারে উচিত জবাব। এসব ভাবতে ভাবতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল তারাটি। এর সাথেই সমগ্র মহাবিশ্ব হয়ে গেল অন্ধকার।


ব্লগ থেকে দেখে নিতে পারেনঃ https://rb.gy/lhq5l3 

গুগল ডক থেকে দেখে নিতে পারেনঃ https://rb.gy/rjfowo



উপরের গল্পটা রেড ডোয়ার্ফের, বাংলায় লাল বামন। নক্ষত্রটি অনেক ছোট আকারের। এমনকি , শক্তিও খুব বেশি না, আমাদের সূর্যের চাইতেও ঠান্ডা। এর আলোও আমাদের দর্শণ সীমায় নয়। ইনফ্রারেড আলোতে জ্বলে।  ভর? সেটাও অনেক কম। সূর্যের ভরের ৮% থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সূর্যের ভরের ৪০% পর্যন্ত ভর থাকতে পারে। অনেক গরীব এরা, খুব কষ্টে কোনমতে হাইড্রোজেন ফিউশন ঘটিয়ে কোনমতে বেচে থাকতে পারে। ধনী(বড়) তারা যেমন MY Cephei ,রিগেল এমনকি সূর্যের কাছেও এরা নস্যি। তাই জন্যই কিনা, তাকে তারার মর্যাদাই দিতে চায়নি অনেকেই। কিন্তু ছোট হলে কি হবে, তারা তো বটেই রেড ডোয়ার্ফ, এবং তারাদের মধ্যে সবচাইতে দীর্ঘস্থায়ী। তারাটি যে আসলেই কতটা গরীব তা H-R ডায়াগ্রামে এদের অবস্থান দেখেই বোঝা যায়! মেইন সিকুয়েন্সে সবার নিচে এদের অবস্থান। (১ নাম্বার ছবিতে দেখে নিন) 


চিত্র ১ঃ H-R ডায়াগ্রামে Red dwarf এর অবস্থান। 


তারাদের সমাজও অনেকটা মানুষের মতো, ধনীর চাইতে গরিবের সংখ্যা বেশি। ধনীর চাইতে গরিবদেরই বেশি দেখা যায়। তারাদের মধ্যেও তেমন রেড ডোয়ার্ফ বেশি । মহাবিশ্বে যতটা তারা তার ৮৫% ই রেড ডোয়ার্ফ। এমনকি সূর্যের পরে আমাদের সবচাইতে কাছের তারা আলফা সেন্টিউরি, ৪.৪ আলোকর্ষ দূরের তারা , একটা রেড ডোয়ার্ফ।  শুধু তাই না, আশেপাশের ৩০-৪০ টা তারাই হচ্ছে রেড ডোয়ার্ফ । আমাদের সূর্যের কাছাকাছি যে তারাগুলো আছে, তাদের বেশিরভাগই রেড ডোয়ার্ফ। রেড ডোয়ার্ফ একটু গরিব হলেও এরা তারা , অন্য যেকোন মেইন সিকুয়েন্স তারার মতোই হাইড্রোজেন ফিউশন ঘটিয়ে হিলিয়াম তৈরি করে। কিন্তু একটা তারার হাইড্রোজেন ফিউশনের পরিমান নির্ভর করে আসলে তারার ভরের উপর। যেহেতু রেড ডোয়ার্ফের আকার খুবই ছোট,সহজে হাইড্রোজেন কেন্দ্রের দিকে এনে ফিউশন ঘটাতে পারে না, সেহেতু তার হাইড্রোজেন ফিউশনের হার ও কম। 



চিত্র ২ঃ রেড ডোয়ার্ফ




আচ্ছা, একটা প্রশ্ন আসতেই পারে, রেড ডোয়ার্ফের ভর সূর্যের ভরের চাইতে অনেক অনেক কম,ভর কম মানে হাইড্রোজেনের পরিমান ও কম, তাহলে এটা এত বছর টিকে কিভাবে?? ছোট্ট ভাষায় উত্তর হলোঃ এটা অপচয় করে না। 




নক্ষত্রগুলো, উদাহরণ হিসাবে আমাদের সবচাইতে কাছের নক্ষত্র সূর্যকে বিবেচনা করি, সূর্যের কেন্দ্রের চারপাশে একটা অঞ্চলে রশ্নি বিকিরিত হয় সবসময়। যাকে বলা হয়, রশ্নিবিকিরিত অঞ্চল বা radiative zone | সূর্য শুধু এই অঞ্চল্টার ভেতরকার হাইড্রোজেন ই ব্যাবহার করে শক্তি উৎপন্ন করতে পারে। কারণ  এই অঞ্চল্টা রশ্নিবিকিরণ করে বিধায় সূর্যের বাকি অংশ থেকে সূর্যকে একপ্রকার আলাদাই করে রাখে বলা যায়। ফলে সূর্য নিজের সবটুকু ব্যাবহার করতে পারে না। ১০% ব্যাবহার করতে পারে মাত্র । শুধুমাত্র সূর্য না, অন্য নক্ষত্রের বেলায় ও এটা সত্য। 



এখানেই রেড ডোয়ার্ফ কচ্ছপের টেকনিক ব্যাবহার করে। রেড ডোয়ার্ফ আকারে ছোট এবং পুরোটাই সংশ্লেষিত করা সম্ভব। সূর্যের অভ্যন্তরীন গ্রাভিটি সেই রেডিয়েটিভ জোন অতিক্রম করে হাইড্রোজেন কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারে না, ডোয়ার্ফের রেডিয়েটিভ জোন নেই বললেই চলে, খুব সহজেই হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম কেন্দ্রে নিয়ে আসা সম্ভব হয়,কারণ সেখানে হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন মিশ্রিত  হয়ে হাইড্রোজেন কেন্দ্রে আনতে সক্ষম হয়, সম্পূর্ন ফিউশন ঘটে।   অর্থাৎ, রেড ডোয়ার্ফ ১০০% এনার্জি ব্যাবহার করতে পারে। 


এর মানে হচ্ছে, পৃথিবীর ১০% ভর ওয়ালা একটা রেড ডোয়ার্ফ কিন্তু সূর্যের সমান ফুয়েল ব্যাবহার করে। আর ডোয়ার্ফের ফিউশন রেট অনেক কম জন্য এটা অনেক বেশি সময় টেকে। এজন্য সূর্য বাচে ১০ বিলিয়ন বছরের মত, অন্যদিকে রেড ডোয়ার্ফ ১ থেকে ১২ ট্রিলিয়ন বছর বেচে থাকতে পারে।  ডোয়ার্ফের ভয় ৩৫% এর মতো হলে সেটা তার জন্য ভালো। 


কচ্ছপ খরগোশের দৌড়টা মনে আছে?এটা এর মহাকাশ ভার্সণ :3 । রেড ডোয়ার্ফটা হচ্ছে কচ্ছপ! ধীর কিন্তু ধারাবাহিক। 



চিত্র ৩ঃ রেড ডোয়ার্ফের অভ্যন্তর





রেড ডোয়ার্ফ খুব ছোট না? তাহলে অন্য তারারা এদের সরিয়ে দেয় না বা তাদেরকে টেনে নিজেদের মধ্যে আনে না কেন? এখানে কি প্রানের অস্তিত্ব পাওয়া সম্ভব?? 



দেখ, মানলাম তারাটা ছোট ভর কম, কিন্তু এখানেই ধোকা খাওয়া যাবেনা।  কারণ এসব তারাদের সক্ষমতা নেহাতই কম নয়।  আমরা জানলাম, রেড ডোয়ার্ফ কিন্তু নিজেকে নিজে সংশ্লেষণ করে, ফলে স্টারের সার্ফেসে কিছু স্পট তৈরি হয়, আমাদের সূর্যেও এমন স্পট আছে, পুরো তারার অর্ধেকের মতো এই স্টার স্পটই দখল করে থাকে। আর স্পটের তাপমাত্রা কম থাকে। ফলে বাইরে থেকে দেখতে ঠান্ডা মনে হলেও এর বেশিরভাগ তাপই ভেতরের দিকে থাকে।একইসাথে প্রচন্ড ঠান্ডা আবার গরম! এরা নিজেদের উজ্বলতা মিনিটের মধ্যেই দ্বিগুন করে ফেলতে পারে।  আবার, প্রথমদিকে যেহেতু এরা একটু হলেও বেশি এনার্জি রিলিজ করে, ফলে তরুণ রেড ডোয়ার্ফগুলোর গতিও অনেক বেশি হয়, একটা সাধারণ নক্ষত্রের চাইতেও অনেক বেশি। এই প্রচন্ড বেগে ঘুর্নণ এর তীব্র ম্যাগনেটিক শক্তির নিদর্শন দেয় এবং এই শক্তিটা প্রকাশ পায় জ্বলন্ত শিখার মাধ্যমে, এর পরিমান সূর্যের চাইতেও প্রায় ১০ হাজার গুন বেশি  । এজন্যই, রেড ডোয়ার্ফের দিকে তাকালেই মনে হয়, লাল রংয়ের একটা আগুনের গোলা জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। 



এমন জ্বলন্ত নক্ষত্র যা তার আশেপাশের বস্তুগুলোকে তার তীব্র ম্যাগনেটিক ফোর্সের প্রভাব বিস্তার করে, এমন নক্ষত্র দ্বারা কোণ সিস্টেম থাকলে সেখানে প্রাণের উপস্থিতি পাওয়া প্রায় অসম্ভব, অন্তত্ব যেসব রেড ডোয়ার্ফ নতুন সেগুলোতে। সেখানে যেসব গ্রহ থাকবে সেগুলোর একপাশ হবে প্রচন্ড গরম, আরেকপাশ হবে প্রচন্ড ঠান্ডা। ফলে পানি থাকলেও তা শুকিয়ে যাবে।  তবে তবে তবে, রেড ডোয়ার্ফ এর যখন বয়স হবে, তখন খুব সম্ভবত সেটা বসবাসের উপযোগী হবে। এজন্য, বিজ্ঞানীদের ধারণা, সেখানে প্রানের অস্তিত্ব থাকতে পারে। এজন্য এটাকে বলে, জীবজগতের শেষ ভরসা। 



সাধারণত, জন্মের সূচনা লগ্ন থেকেই মেইন সিকুয়েন্সের নিচের দিকে ট্রিলিয়ন বছর কাটিয়ে দেয় রেড ডোয়ার্ফ। হাইড্রোজেন ফিউশন করে হিলিয়াম তৈরি করে ও শক্তি তৈরি করে, আস্তে আস্তে রেড ডোয়ার্ফের ভর বাড়তে থাকে, ভর বাড়তে থাকা মানে ঘনত্ব ও বাড়তে থাকা। ভর যতই বেশি হয়, অভ্যন্তরীন গ্রাভিটি বেড়ে যায়, ফলে হাইড্রোজেন গুলো দ্রুত কেন্দ্রের দিকে আসা শুরু করে। ফলে ফিউশন এর হার বাড়তে থাকে। এই বাড়তে থাকাটা আসলে ১০ এর ফ্যাক্টর হিসেবে। এজন্যই সূর্যের ১০% ভর থাকা রেড ডোয়ার্ফের ১০ ট্রিলিয়ন বছর বাচার কথা থাকলেও এই ফ্যাক্টর হিসেবে ফিউশন বাড়ায় তারা ৩ ট্রিলিয়ন বছর কম বাচে, ৭ ট্রিলিয়ন বছরের মত বাচে। 



আমরা জানলাম, একটা রেড ডোয়ার্ফের ফিউশন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে তাই না? তাহলে তো তার শক্তির নির্গমন ও  বেড়ে যাওয়ার কথা। শক্তির নির্গমন বেড়ে গেলে যে তো আর লাল থাকবে না, কালার চেঞ্জ করবে, সাদা বা নীলের দিকে চলে যাবে। এবং এটাই হয়। এটা আস্তে আস্তে ব্লু ডর্ফে পরিনত হয়। এখান থেকেই বিজ্ঞানীদের সকল আশা ভরসার সূচনা। 



চিত্র ৪ঃ লাল লাইনে কম ওয়েভলেংথ, রং লাল। সাদা লাইনে একটু বেশি ওয়েভলেংথ, রং সাদা, প্রচুর শক্তি হয়ে গেলে নীল লাইনের মত বেশি ওয়েভলেংথ বিকিরণ করবে, রং হবে নীল। 





শক্তির নির্গমন মানে আস্তে আস্তে শক্তি হারানো, যখন রেড ডোয়ার্ফ হোয়াইট বা ব্লু ডোয়ার্ফে পরিনত হওয়া শুরু করবে, তখন থেকেই তার কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে যাবে বলা যায়। 


সূর্যের ৩ ভাগের একভাগ ভরের একটা ব্লু ডর্ফ প্রায় ৭-৮ বিলিয়ন বছর টিকে থাকতে পারে। অর্থাৎ, রেড ডোয়ার্ফ তার তার জীবনের শেষের দিকে ৭ বিলিয়ন বছরের মত বসবাস যোগ্য হতে পারে।  বিজ্ঞানীরা ধারনা করেন, ব্লু ডোয়ার্ফের চারপাশে কোন সিস্টেমে বসবাসযোগ্য অঞ্চল ও পানি থাকার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আর ৬-৭ বিলিয়ন বছর, কোন একটা সিভিলাইজেশন গড়তে ও তা ধ্বংস হতে যথেষ্ট। আমাদের পৃথিবীর সিভিলাইজেশনেরই মাত্র ৪.৫ বিলিয়ন বছর বয়স।



ব্লু ডোয়ার্ফ, হোয়াইট ডোয়ার্ফ আর ব্লাক ডোয়ার্ভ বিশাল বিশাল টপিক, সেগুলো নিয়ে আলাদা আর্টিকেল লেখা হবে বলে আশা করি।আমরা রেড ডোয়ার্ফেই থাকি।  



আজ থেকে আগামী ৭ বিলিয়ন বছর পরে সূর্য ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা। যদি আমাদের সত্যতা টিকে থাকে এবং আমরা আমাদের এই সভ্যতাকে আরো বেশি টিকিয়ে রাখতে চাই, আমাদের হাতে বিকল্প কোন বসবাসের সিস্টেম খুজতে হবে, আর সেজন্য রেড ডোয়ার্ফকে খোজা হয়, এজন্যই এটা গুরত্বপূর্ন, আমাদের লাস্ট হোপ। 



এখন প্রশ্ন আসতে পারে, সূর্য ধ্বংস হয়ে গেলে কি আমরা সূর্যের মত অন্য গ্রহে গিয়ে বসবাস করতে পারি না?? রেড ডোয়ার্ফেই কেন গিয়ে থাকতে হবে??



উত্তরটা হলো, আজ থেকে ৫ বিলিয়ন বছর পরে আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ও এড্রোমিডা গ্যালাক্সি দুটোর সংঘর্ষ হওয়ার কথা। যদি তা হয়, তবে আমাদের চিরপরিচিত আকাশ একেবারেই পালটে যাবে। নতুন সেই গ্যালাক্সিতে গ্যাসের সংকট দেখা যাবে, ফলে নতুন কিছু তার জন্ম হলেও প্রায় অনেক তারাই সুপারনোভার মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যাবে। একমাত্র সম্বল হিসেবে টিকে থাকবে রেড ডোর্ফ, যদিওবা তখন সেটা বিকশিত হয়ে তখন ব্লু ডোর্ফ । 


তবে এই ব্লু ডর্ফের মধ্যেও একসময় হিলিয়াম বল তৈরি হবে, আস্তে আস্তে নিভে আসবে তাই আলো, নীল থেকে লাল, থেকে কালো একসময় চিরতরে হারিয়ে যাবে সেই রেড ডোর্ফ।ভর বেড়ে যাবে ঘনত্ব বেড়ে যাবে সাইজ হয়ে যাবে পৃথিবীর সমান, আস্তে আস্তে আরো ছোট। একসময় ব্লাক ডোয়ার্ফ, একময় এর মৃত্যু ঘটবে।  যদি আমাদের সিভিলাইভেশন তখন রেড ডোর্ফের সিস্টেমে বসবাস করে, তবে হয়তোবা তারা মহাবিশ্বের এই শেষ তারাটির মৃত্যু দেখতে পারবেন। 



এখন কথা হলো, রেড ডোর্ফের সিস্টেমে আগে থেকেই কিছু হেবিটবল জোন অর্থাৎ মানুষের বসবাসের উপযোগী সিস্টেম আছে, পুরো মিল্কিওয়েতে এমন রেড ডোয়ার্ফের সংখ্যা ৫% এর ও কম। এই ৫% কতটুকু জানেন? ৬০ হাজার। তো বিজ্ঞানীরা ধারণ করেন, এমন ও হতে পারে যে পুরোনো কোন রেড ডোর্ফে প্রান আছে। হয়তোবা তারাও নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় রেড ডোয়ার্ফের আশেপাশে নিজেদের বসতি স্থাপন করেছে। থাকতেই তো পারে। হয়তোবা আমরা সেখানে এলিয়েনের দেখা পেতে পারি অথবা নিজেরাই সেখানে এলিয়েন হয়ে যেতে পারি। সব সময়ের ব্যাপার। 



বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ 


১) রেড ডোর্ফ সম্পর্কে আমরা যা জানি প্রায় পুরোটাই থিওরিটিকাল। 

২) রেড ডোর্ফকে গরিব বলে সম্বোধন করা পুরোটাই কল্পিত, আর্টিকেলে কিছু রস যোগ করার প্রচেষ্টা। গরির বলতে ছোট বোঝানো হচ্ছে। 

৩) ডার্ক ও হোয়াইট ডোর্ফ নিয়ে আলোচনা করিনি জন্য কিছু জায়গায় সেগুলোকে রেড ডোর্ফ বলে সম্বোধন করেছি । প্রথমের গল্পটাতেও।  

৪) আর্টিকেলটির তথ্য যে কয়েকটি বই থেকে লেখা, সেখানে যে তথ্য দেয়া হয়েছে সে ভিত্তিতে তথ্য দেয়া হয়েছে। উইকিপিডিয়াতে বর্তমানে কিছু তথ্য আছে সেগুলোর সাথে পার্থক্য থাকতে পারে। 

৫) কোন ভুল থাকলে অবশ্যই ধরিয়ে দেবেন আশা করি। 


Refarence :

https://rb.gy/pdczlg


https://rb.gy/6y89dh


https://rb.gy/3vsh4g


মন্তব্যসমূহ


  1. বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

    ১) রেড ডোর্ফ সম্পর্কে আমরা যা জানি প্রায় পুরোটাই থিওরিটিকাল।
    ২) রেড ডোর্ফকে গরিব বলে সম্বোধন করা পুরোটাই কল্পিত, আর্টিকেলে কিছু রস যোগ করার প্রচেষ্টা।
    ৩) ডার্ক ও হোয়াইট ডোর্ফ নিয়ে আলোচনা করিনি জন্য কিছু জায়গায় রেড ডোর্ফ বলে সম্বোধন করেছি যেহতু রেড ডোর্ফেরই রুপান্তরিত রূপ হচ্ছে বাকিগুলো।
    ৪) আর্টিকেলটির তথ্য যে কয়েকটি বই থেকে লেখা, সেখানে যে তথ্য দেয়া হয়েছে সে ভিত্তিতে তথ্য দেয়া হয়েছে। উইকিপিডিয়াতে বর্তমানে কিছু তথ্য আছে সেগুলোর সাথে পার্থক্য থাকতে পারে।
    ৫) কোন ভুল থাকলে অবশ্যই ধরিয়ে দেবেন আশা করি।

    উত্তরমুছুন
  2. ব্লগ থেকে দেখে নিতে পারেনঃ https://rb.gy/lhq5l3

    গুগল ডক থেকে দেখে নিতে পারেনঃ https://rb.gy/rjfowo

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইনফার্টিলিটি ( infertility ): কেন জীব তার প্রতিরূপ তৈরি করে রেখে যেতে পারে না? প্রতিরোধ ও করণীয় ।

  ইনফার্টিলিটি ( infertility ): কেন জীব তার প্রতিরূপ তৈরি করে রেখে যেতে পারে না? প্রতিরোধ ও করণীয় ।  সব প্রজাতিই তার বংশধর রেখে যেতে চায়। মানুষ যেমন সন্তানের জন্ম দেয়, তেমন অন্যান্য প্রজাতিও দেয়। তবে , অনেক সময় তারা সন্তান জন্মদিতে সক্ষম হয়না। কেন হয়না, কি কারণ , কি করা উচিত তা নিয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করব। অর্থাৎ মানুষের ইনফার্টিলিটি নিয়ে বিস্তারিত থাকবে।  আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা সন্তান জন্মদিতে পারছেন না বা সক্ষম না। ইংরেজিতে একে বলা হয় , infertility বাংলায় বন্ধ্যাত্বতা। আমাদের মধ্যেও এই রোগে আক্রান্ত অনেকেই আছেন। শুধু আমেরিকাতেই ১০ - ১৫ % ( ১৫-৪৪ বছরের)  দম্পত্বি বন্ধ্যা বা ইনফার্টাইল। বাংলাদেশে একেবারে সিরিয়াস ভাবে সেরকম কেস স্ট্যাডি না হলেও, অনেকগুলো রিসার্চ এ পাওয়া গেছে, বাংলাদেশের বন্ধ্যাত্বতার রেট ৬% এর মত। পাশের দেশে ৭.৭% এর মত। সংখ্যাটা বিশাল। তো ইনফার্টিলিটি আসলে কি? “ যদি টানা এক বছর frequent, unprotected sex করার পরেও যদি কোন কাপল প্রেগনেন্ট না হন , তবে সেই কাপলটি ইনফার্টাইল”  ইনফার্টিলিটি হতে পারে দুইজনের একজনের কারণে...

Sea Navigation (তারা থেকে জি পি এস এর পথচলা)

  “If you want to learn to pray, go to sea.” —Portuguese proverb “...অথবা খুব বিশাল সমুদ্রের মাঝে, হারিয়ে যাওয়ার মত..." এভয়েড রাফার কষ্ট গানের এই লিরিক্স দিয়ে বোঝা যায়, কষ্ট আসলে সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়ার মত। 🙂 আপনার মনে কখনো প্রশ্ন জাগে না? যেখানে আমরা নিজেদের পাড়ার মধ্যেই হারিয়ে যাই, এই বিশাল সমুদ্র, মহাসমুদ্রে আমরা হারাই না কেন?  হারিয়েছিলাম একসময়। অনেক দক্ষ নাবিক, ক্রু, জাহাজ হারিয়েছিলাম। কিন্তু আস্তে আস্তে আমরা এই সমস্যা সমাধানের পথ বের করে নিয়েছি। সেটা অবশ্যই এক দিনে হয়নি, কয়েক শতাব্দি লেগেছে! ন্যাভিগেশন ব্যতীত, আমরা খুব সম্ভবত  সমুদ্রের কাছে হারিয়ে যাব। ন্যাভিগেশন প্রাচীন প্রাথমিক সভ্যতার পক্ষে নতুন দ্বীপ আবিষ্কার করা, বাণিজ্য রুট স্থাপন এবং বিশ্বের অন্য পাশের লোকের সাথে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়েছিল। ন্যাভিগেশন মৎস্যজীবীদের বিদেশের সমুদ্র বন্দরে নিরাপদে যাত্রা করার জন্য ও তাদের বাড়ি এবং বাণিজ্য জাহাজগুলি খুঁজে পাওয়ার সুবিধা দেয়। আজ, ন্যাভিগেশন অনেক নিখুত ও সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য ন্যাভিগেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে জাহাজ, বিমান এবং ট্রাককে নির্দেশ দিয়ে বৈশ্বি...

পাভলভের পরীক্ষার সত্যঃ আসলেই কি ধর্ষনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখা?

  “ Pavlov was a f***ing monster ! “  - Joe Scoot পাভলভের ১৪১ বছর পুরোনো একটা থিওরি আছে, যেটা দিয়ে  এখন বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ধর্ষনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হিসেবে জানে। জানারই কথা, যেখানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু সংবাদ পত্র ভুলকে সত্য বলে প্রকাশ করে, আমাদের পক্ষে আর তা কতটাই জানা সম্ভব? এই আর্টিকেলে আমি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব, আসলে পাভলভের তত্ব কি ছিল, আর তত্ব সম্পর্কে সত্যটাই বা কি?   পাভলভের তত্ব সম্পর্কে আমরা সাধারণ মানুষ কি মনে করি?  মানুষ ( বিশেষ করে বললে পুরুষ ) কুকুরের মানসিকতার।  মানুষের মধ্যে পশুত্ব আছে।  আমাদের মন ৩ টা সত্বা দ্বারা গঠিৎ! ( ইড, ইগো এবং সুপার ইগো )  ক্রমাগত রিপিটেশনের মাধ্যমে রিফ্লেক্স অর্জন করা যায়।    এবং, আপনার এসব ধারণা ভুল প্রমানিত হতে যাচ্ছে এই আর্টিকেলে।  কুকুরেরা মানুষের খুব ভালো বন্ধু, লয়াল । বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। এমনই কিছু কুকুর ইভান পাভলভ স্যারেকে সাহায্য করেছিল , মানুষের ব্রেন ও মনস্তাত্বিকতা নিয়ে জানতে। :) কুকুর পোষেন ? কুকুরেরা অনেক সুন্দর না? তো পাভলভ সাহেব একদিন করলেন কি, একদল...