সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পাভলভের পরীক্ষার সত্যঃ আসলেই কি ধর্ষনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখা?

 “ Pavlov was a f***ing monster ! “  - Joe Scoot




পাভলভের ১৪১ বছর পুরোনো একটা থিওরি আছে, যেটা দিয়ে  এখন বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ধর্ষনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হিসেবে জানে। জানারই কথা, যেখানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু সংবাদ পত্র ভুলকে সত্য বলে প্রকাশ করে, আমাদের পক্ষে আর তা কতটাই জানা সম্ভব? এই আর্টিকেলে আমি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব, আসলে পাভলভের তত্ব কি ছিল, আর তত্ব সম্পর্কে সত্যটাই বা কি?  





পাভলভের তত্ব সম্পর্কে আমরা সাধারণ মানুষ কি মনে করি? 


  • মানুষ ( বিশেষ করে বললে পুরুষ ) কুকুরের মানসিকতার। 

  • মানুষের মধ্যে পশুত্ব আছে। 

  • আমাদের মন ৩ টা সত্বা দ্বারা গঠিৎ! ( ইড, ইগো এবং সুপার ইগো ) 

  • ক্রমাগত রিপিটেশনের মাধ্যমে রিফ্লেক্স অর্জন করা যায়। 



 

এবং, আপনার এসব ধারণা ভুল প্রমানিত হতে যাচ্ছে এই আর্টিকেলে। 





কুকুরেরা মানুষের খুব ভালো বন্ধু, লয়াল । বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। এমনই কিছু কুকুর ইভান পাভলভ স্যারেকে সাহায্য করেছিল , মানুষের ব্রেন ও মনস্তাত্বিকতা নিয়ে জানতে। :)




কুকুর পোষেন ? কুকুরেরা অনেক সুন্দর না? তো পাভলভ সাহেব একদিন করলেন কি, একদল কুকুরকে নিয়ে আসলেন, তাদের সামনে বেল বাজিয়ে খাবার পরিবেশন করতেন। যখন খারার পরিবেশন করতেন , তখন তাদের মুখ থেকে লালা ঝড়ত। তো আমাদের পাভলভ সাহেব একদিন করলেন কি, বেল ঠিকই বাজালেন কিন্তু খারাব দিলেন না। ( খুব অন্যায় হল) এরপর দেখলেন, খারার না দেওয়ার পরেও কুকুরদের মুখ থেকে ঠিকই লালা ঝড়ছে। গ্রেট! তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন , হিউম্যান ব্রেন ও এভাবে কাজ করে! আপনি একমত তো?




একমত না মানে? পাভলবের চাইতে বড় বিজ্ঞানী হয়ে গেছেন না? বয়স কত আপনার? যান আগে পাভলবের মত কিছু করে এসে তারপর তার ভুল দেখান যত্তসব! -_- ( ফ্যালাসি )




 

যদি ইভান পাভলভের জন্য আপনার মনে কোন সফট কর্নার থাকে, মাফ চেয়ে নিচ্ছি, এই আর্টিকেলে আমরা শুধু পাভলভের খুব বেশি তারিফ করব না , তাই হার্টের সমস্যা থাকলে অবশ্যই পড়বেন না। বিদ্রঃ ইভান পাভলভকে অপমান করে কিছু বলা হয়নি। 




মূলত, ইভান পাভলভ একজনএকজন ফিজিওলজিস্ট ছিলেন, ডগ ট্রেইনার হিসাবেও তার যথেষ্ট খ্যাতি ছিল, এরপর বের করলেন তার বিখ্যাত তত্ব, “ conditioning theory “ । এটা  ও এর এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে আপনাদের জানানোর দ্বায়িত্বে আছি আমি, মাহতাব মাহদী। সাথে জ্ঞান দিয়ে হেল্প করছেন জো স্কোট আর সোর্সের ওয়েবসাইট গুলো। 






conditioning theory কে আসলে বলা হয় clasical conditioning theory কারণ তিনি একটা নতুন বিষয় সবার সামনে উপস্থাপন করেছিলেন। 



আগেরকার মানুষ ভাবত, রিফ্লেক্স কখনো কোনো মানুষকে শেখানো যায়না। যেমন মশা কাটলে তাকে মেরে ফেলা রিফ্লেক্স । কিন্তু পাভলভ তার তত্ব দিয়ে বললেন, রিফ্লেক্স ট্রেইন করা যায়। মশা কামড়ালে তাকে মারব না, চুমু দিয়ে ছেড়ে দেয়া ট্রেইন করা যায় ! :) যেটা আসলে একটা মিথ ছাড়া কিছুই ছিল না। 



পাভলভ বলেছিলেন , ঠিক কুকুরগুলোকে যেমন বেল বাজিয়ে খাবার দেয়াতে অভ্যস্ত করা হয়েছিল, তখন বেল বাজলেই কুকুরদের মুখ দিয়ে লালা ঝড়া শুরু করত। এই বেল বাজানোকে তিনি বলেছিলেন নিউট্রাল স্টিমুলাস। আর খাবার পরিবেশনকে বলেছিলেন কন্ডিশনাল স্টিমুলাস। তিনি বলেছিলেন কুকুরকে কোন নিউট্রাল আর কন্ডিশনাল স্টিমুলাস একসাথে দেন তারা একটা রেসপন্স করে। এখন পাভলভের কথা হচ্ছে , এভাবে কোন কুকুরকে যদি অভ্যস্ত করা হয়, তবে যদি শুধু নিউট্রাল স্টিমুলাস দেওয়া হয়, কুকুরটা ঠিক সেভাবেই রিয়েক্ট করবে যেমনটা সে কন্ডিশনাল স্টিমুলাসের ক্ষেত্রে করেছিল! :) 



বোঝেন নাই তো? আচ্ছা উদাহরণ দেই, উনি বলতে চেয়েছেন, এমনি নরমাল টাইমে আলাদা ভাবে খাবার দিলে কুকুরের মুখ দিয়ে লালা ঝড়ে, আর বেল বাজালে কোন রেসপন্স করে না। আর যদি এই দুটো একসাথে করা হয়, মানে বেল বাজিয়ে খাবার দেয়া হয় বেশ কয়েকদিন, তাহলে পরে শুধু বেল বাজলেও কুকুরের মুখ থেকে লালা ঝড়বে। ক্লিয়ার?  (চিত্র নং ২) 









এই তত্বটা বড় ধরনের ইমপ্যাক্ট ফেলেছিল  সাইকোলজি সাবজেক্টের উপরে। পুরো নতুন একটা বিষয়ই তৈরি হয়ে যায় যার নাম BEHAVIORISM বা আচরণজ্ঞান! তার তত্ব সাইকোলজি আর ফিজিওলজির মধ্যে একটা সম্পর্ক স্থাপন করেন যা দ্বারা পরবর্তিতে ব্যাখ্যা করা হয় মানবজীবনের বিভিন্ন আচরণ ও সাইকোলজিকাল সমস্যা ও রোগের পেছনের কারণ । যেমন আমাদের এখনকার কেস ধর্ষণ। 




প্লে স্টোরে অনেক এপস আছে না হার্ট বিট মাপার? মেপেছিলেন কখনো? আমাদের পাভলবের থিওরি অনুযায়ী সেটাও কিন্তু একটা বেলের মতই কাজ করে। :) 



আচ্ছা, এখন কথা হচ্ছে পাভলভ কিভাবে সাইকোলজি ও ফিজিওলজির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করলেন? একে তো তিনি ফিজিওলজিস্ট ছিলেন , সাইকোলজিস্ট ছিলেন না। তবুও তার জ্ঞান থাকতেই পারে সে বিষয়ে , কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, তিনি তো আমাদের সাইকোলজি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলেন না। তিনি সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন কুকুরের সাইকোলজিক্যাল আচরণ নিয়ে। 




১৮৭৯ অনেক আগের সময়। সেসময় আইভ্যান পাভলভ মিলিটারি মেডিকেল স্কুল থেকে গ্রাজুয়েশন করেন। তিনি মূলত পড়েছিলেন পরিপাক নিয়ে। সেসময়ে ফিজিওলজি ততটা উন্নত হয়নি। তিনি ১২ বছর এই ডায়জেস্টিভ সিস্টেম নিয়ে কাজ করেন। তার একটা বই ও আছে ডায়জেস্টিভ গ্লান্ডগুলোর বর্ননা দিয়ে। ১২ বছর পরে তিনি মোটামুটি এক্সপার্ট হয়ে যায় পরিপাক ও এর গ্রন্থিগুলো এবং লালা ক্ষরণ নিয়ে। তিনি মনে করলেন, এই লালা ও রস সিক্রেশন শুধু পরিপাক সিস্টেমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটার আরো বড় প্রভাব রয়েছে। এরপর তিনি শুরু করলেন রিসার্চ। কুকুরদের উপরে। 




সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ যদি আপনি কুকুর ভালোবেসে থাকেন তবে দয়া করে এই অংশটা স্কিপ করে যাবেন :) 




ইভান পাভলভ একজন দারুন সার্জন ছিলেন। তবে তিনি যখন কুকুরদের নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন, তিনি চাইলেন শুধু লালা কিভাবে ঝড়ে এর উত্তর এর সাথে সাথে  কেন ঝড়ে আর কখন ঝড়ে এর উত্তর খুজে বের করতে চাচ্ছিলেন। তার তালগোল এখানেই লাগে কারণ তিনি ফোকাস করেছিলেন শেষ কারণটার উপরে। তো এজন্য …




শেষ সুযোগ বলছি, কুকুরদের ভালোবেসে থাকলে স্কিপ করুন :) 



করলেন না? আচ্ছা বাদ দেন। তো তিনি চাচ্ছিলেন যে লালা ঝড়ার কারণ খুজতে তাই তিনি কয়েকটা জীবন্ত কুকুরের দেহে দুটো ছিদ্র করলেন। একটা তার পরিপাক তন্ত্রে, আরেকটি গলায় :) শুধু এটা মাপতে যে কতটা লালা ক্ষরণ হচ্ছে :) 



তার গলার ছিদ্র টা কেন করেছিলেন জানেন? যাতে কুকুরটা কিছু খেতে না পারে। :) খেলে যাতে গলার ফুটো দিয়ে পড়ে যায়। আর পাকস্থলির ছিদ্রটা ছিল শুধু রস ক্ষরণ মাপার জন্য । খেতে না দিয়ে পরীক্ষা করছিলেন যে কতটুকু রস ক্ষরণ হয়। (চিত্র ৩) 








এভাবে খাবার না খেতে পেয়ে কুকুরগুলো মারা যেত। তাদের সামনে খাবার ঠিকই রাখা হত, কিছু দূরে যাতে তারা নাগাল না পায় , কিন্তু গন্ধ শুকে ও দেখে রস ক্ষরণ হয়। এটা কোন মুভির সিন না ভাই :) এটাই বাস্তব :)



পাভলভের এমন নির্মমতার শিকার হয়েছে ১০০ এর ও বেশি কুকুর । পাভলভ এভাবে কুকুরদের উপর পরীক্ষার নামে নির্মমতা চালাতেন। ওনার কাছে যে কুকুরগুলো ছিল , তারা ক্ষুধায় মারা যেত, চোখের সামনে খাবার কিন্তু খেতে পারত না । ওনার কাছে যে কুকুরগুলো ছিল, সর্বোচ্চ ১০ দিন বেচেছিল :) 




তো আচ্ছা , ডগ লাভাররা নিশ্চই এখন আমাদের সাথে জয়েন করেছেন , উপরের প্যারাটি স্কিপ করে? তবে আপনাদের জন্য নিচের অংশটি উপরের থেকেও ভয়াবহ হবে :) 




আচ্ছা তো এই পরীক্ষার জন্য পাভলভ টাকা পেলেন কোথাথেকে? তখনকার দিনে কুকুরের গ্যাস্ট্রিক রস ঔষধ হিসেবে ব্যাবহার হত। তিনি করতেন কি, ঐ মারা যাওয়া কুকুরের রসগুলো ফার্মেসিতে বেচে তার রিসার্চের জন্য টাকা সংগ্রহ করতেন। তবে তার রিসার্চের জন্য আরো অনেক টাকা দরকার ছিল , ফলে যা হওয়ার , তাই হল। 





ড্যানিয়াল পি টরেসের বই ইভান পাভলভের বায়োগ্রাফি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তার ল্যাব মূলত কুকুরের গ্যাস্ট্রিক রস ক্ষরণের একটা ফ্যাক্টরি ছিল যেখানে কুকুরেরা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত গ্যাস্ট্রিক রস ক্ষরণ করে ময়লার ড্রামে নিক্ষিপ্ত হত । 



তিনি প্রতি বছরে প্রায় ৩০০০ বোতল গ্যাস্ট্রিক জুস বিক্রি করেছিলেন যা তার ল্যাবের ব্যায়ের ৪১% বহন করেছিল । তার ল্যাবে আসা বেশিরভাগ কুকুরের কোন দোষ ছিল না। কোন এক্সপেরিমেন্টের সাথেও সম্পর্ক ছিল না, তারা শুধু জুস মেশিন ছিল, জুসটা বের করে নিয়ে ফেলে দাও ময়লার বাক্সে! কে দেখছে? :) 




এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, পাভলভের এই কাজে কি কোন বাধা আসেনি? নাহ ! আসবেই বা কেন? তিনি ওয়ার্ল্ড ফেমাস তখন! ১৯০৪ সালে চিকিৎসায় নোবেল জেতা ব্যাক্তি। তার সম্পর্কে কেউ কথা কেন বলবে? তার সম্পর্কে কথা বলার জন্য নোবেল পেতে হবে যে :) 




তবে হ্যা, নোবেলের টাকাটা তিনি পুরোটাই সরকারকে দান করে দেন :) (হাততালি at 400% capacity ) 




সোভিয়াত বিভক্তের পরে রাশিয়া তার খ্যাতি বুঝতে পারে। তাকে যথেষ্ট পরিমান সুযোগ ও টাকা দেয়া হয় যাতে তিনি তার ল্যাব বাড়াতে পারেন। তিনি রাশিয়ার অনেক সম্মানিত ব্যাক্তি ছিলেন। ১০০ বছর বয়সে যখন তিনি মারা যায়, তার শেষ দেখায় কয়েকহাজার লোক জড়ো হয়েছিলেন। 





তো অনেক কথা হলো এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে। এখন কথা হচ্ছে, কেউ কিভাবে কোন মানুষের কর্ম নিয়ন্ত্রন করতে পারে?  আমরা আমাদের রিফ্লেক্স কন্ট্রোল করতে পারি? না! 


মূলত রিফ্লেক্স হল সেই উদ্দীপনা যা আমরা কন্ট্রোল করতেই পারি না। বেশিরভাগ রিফ্লেক্সের উপর আমাদের কোন কন্ট্রোল নেই। মশা হাতে কামড়ালে আপনি মারবেনই । মশাকে চুমু দিয়ে ছেড়ে দেবেন না। :) ( রিফ্লেক্সের সংজ্ঞা এটাই বলে ) 



পাভলভের থিওরি কি এখনো ব্যাবহার করা হয়? হ্যা হয়। অনেকে করেন। সাইকোলজির বড় একটা ক্ষেত্র এটা। বা আজকাল এভাবে বিডাল কুকুরদের ও ট্রেইন করা হয়। তার মানে পাভলভের তত্ব প্রমানিত? না ! এটা কি ভুল? খুব সম্ভবত হ্যা। 





স্যার কার্ল পপার , আরেকজন ফেমাস ফিজিওলজিস্ট, তিনি তার তত্বে বলেছেন যে আচরণ বাদ বলতে কিছু নেই। তিনি মূলত বোঝাতে চেয়েছেন যে, পাভলভের তত্বের কারণে যে ক্ষেত্রটি তৈরি হয়েছে যাকে আমরা বলছি behaviorism বলতে আসলে কিছু নেই! তার তত্ব মতে, রিপিটেডলি কোন কাজের মাধ্যমে আসলে শেখা যায় না। যদিও তার তত্ব ও প্রমানিত না , তাই আমরা জোর গলায় বলতে পারি না, পাভলভের তত্ব প্রমানিত না। 




 পাভলভ মূলত যা করেছেন , তা হল, সাইকোলজি আর দর্শনের খিচুড়ি পাকিয়ে বিজ্ঞান নামে চালিয়ে দিতে চেয়েছেন। বস্তুত জিনিসটা একটু ভিন্ন। সাইকোলজিক্যাল অনেক তত্বই বিজ্ঞানে প্রমানিত নয় । পাভলভ যা করেছেন , তা হল কুকুরের উপরে পরীক্ষা চালিয়ে তা মানুষের উপর খাটিয়েছেন। এবং যুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন একজন সাইকোলজিস্টের তত্ব যা নিজেও প্রমানিত নয়! তাহলে একটা অপ্রমানিত জিনিস দিয়ে আরেকটা বিতর্কিত জিনিস প্রমান করার চেষ্টা চালিয়েছেন! 



এখন প্রশ্ন আসবে, তো পাভলভের থিওরি কেন এখনো প্রচলিত? কেন?



এক্ষেত্রে আপনাকে শুনতে হবে সবচাইতে হতাশা জনক কথা। আমরা আসলেই অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে আছি। সাইকোলজি নিয়ে আমাদের সবচাইতে বড় যে সমস্যা, আমরা সাইকোলজির মূল ৫ টা তত্ব এখনো সাইন্টিফিকালি প্রুভড না ! আবার, অনেক ক্ষেত্রে এটা কাজ করে! তাই এটা সহজে রিজেক্ট করাও যায় না। ফলে আমরা আসলে এ বিষয়ে শিওর না । যতদিন না পাভলভের থিওরি এর বাদ দিয়ে কোন আরেক থিওরি আসছে, ততদিন পাভলভের থিওরি থাকবেই। :) আর সাইকোলজি নিয়ে রিসার্চের অগ্রগতি অনেক কম। 




এখন আসি শেষ প্রশ্নে, 


পাভলভ কি সত্য ছিলেন? - হয়তোবা , কিন্তু প্রমানিত না। 

পাভলভ কি ভুল ছিলেন - হয়তোবা ভুল প্রমানিত হতে পারেন :) 



 



তো এই ঘটনাকে কি আমরা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বলতে পারব? না ! তো ধর্ষনের বৈজ্ঞানিক কি ব্যাখা আছে? এখনো না।সাইকোলজিকাল অনেক ব্যাখ্যা আছে যেগুলো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত না। 




ডা . মোহাম্মাদ ইলিয়াস ( যিনি যুগান্তরের পত্রিকার আর্টিকেলটি লেখেছিলেন) তিনি ক্যাপশনেই স্পষ্ট বলে দিয়েছেন ব্যাখ্যাটি সম্পূর্ন মনস্তাত্বিক । বিজ্ঞানের ভাষায় আলাদা করে মন বলতে কিছু নেই! যা আছে তা হল সাড়ে ৩ কেজি ওজনের একটা কয়েক মিলিয়ন নিউরনের একটা মস্তিস্ক । তবে যদি আপনি এটাকে সাইন্টেফিক থিওরি বলে ধরে থাকেন , তবে আপনার হাজার পাওয়ারি মস্তিস্কটাকে একটু উন্নত করতে হবে। 







Source : 



https://hub.jhu.edu/magazine/2014/winter/daniel-todes-biography-of-pavlov/

https://io9.gizmodo.com/the-truth-about-pavlovs-dogs-is-pretty-disturbing-1591853321 

https://www.youtube.com/watch?v=ITdQYQ6nW10&t=504s

https://www.sciencedirect.com/science/article/abs/pii/0732118X94E0003K



মন্তব্যসমূহ


  1. Source :


    https://hub.jhu.edu/magazine/2014/winter/daniel-todes-biography-of-pavlov/
    https://io9.gizmodo.com/the-truth-about-pavlovs-dogs-is-pretty-disturbing-1591853321
    https://www.youtube.com/watch?v=ITdQYQ6nW10&t=504s
    https://www.sciencedirect.com/science/article/abs/pii/0732118X94E0003K


    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইনফার্টিলিটি ( infertility ): কেন জীব তার প্রতিরূপ তৈরি করে রেখে যেতে পারে না? প্রতিরোধ ও করণীয় ।

  ইনফার্টিলিটি ( infertility ): কেন জীব তার প্রতিরূপ তৈরি করে রেখে যেতে পারে না? প্রতিরোধ ও করণীয় ।  সব প্রজাতিই তার বংশধর রেখে যেতে চায়। মানুষ যেমন সন্তানের জন্ম দেয়, তেমন অন্যান্য প্রজাতিও দেয়। তবে , অনেক সময় তারা সন্তান জন্মদিতে সক্ষম হয়না। কেন হয়না, কি কারণ , কি করা উচিত তা নিয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করব। অর্থাৎ মানুষের ইনফার্টিলিটি নিয়ে বিস্তারিত থাকবে।  আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা সন্তান জন্মদিতে পারছেন না বা সক্ষম না। ইংরেজিতে একে বলা হয় , infertility বাংলায় বন্ধ্যাত্বতা। আমাদের মধ্যেও এই রোগে আক্রান্ত অনেকেই আছেন। শুধু আমেরিকাতেই ১০ - ১৫ % ( ১৫-৪৪ বছরের)  দম্পত্বি বন্ধ্যা বা ইনফার্টাইল। বাংলাদেশে একেবারে সিরিয়াস ভাবে সেরকম কেস স্ট্যাডি না হলেও, অনেকগুলো রিসার্চ এ পাওয়া গেছে, বাংলাদেশের বন্ধ্যাত্বতার রেট ৬% এর মত। পাশের দেশে ৭.৭% এর মত। সংখ্যাটা বিশাল। তো ইনফার্টিলিটি আসলে কি? “ যদি টানা এক বছর frequent, unprotected sex করার পরেও যদি কোন কাপল প্রেগনেন্ট না হন , তবে সেই কাপলটি ইনফার্টাইল”  ইনফার্টিলিটি হতে পারে দুইজনের একজনের কারণে অথবা দুইজনের কারণেই। রে

একজন অস্তিত্বহীন গনিতজ্ঞ

 Structures are the weapons of the mathematician. — Nicolas Bourbaki উপরের কথাটি বলেছেন ফ্রান্সের একজন গনিতবিদ। নিকোলাস বোরবাকি। সারাবিশ্বে অনেক পরিচিত এই গণিতবিদ। টপ ২৫ গণিতবিদের একজন। তার লেখা বই , থিওরি এখনো ব্যাবহার হয় বিশ্বের অনেক জায়গায়। তবে তাকে নিয়ে লোকজনের শুধু একটাই ছোট্ট সমস্যা। সেটা হচ্ছে, এই মানুষটার আসলে কোন অস্তিত্ব নেই। মানে, নিকোলাস বোরবাকি নামে যে বিশ্বসেরা গণিতবিদ , উনি আসলে নেই। আমেরিকান ম্যাথমেটিকাল সোসাইটি হল বিশ্বের সেরা গণিত সংগঠনের মধ্যে একটা। অনেকটা বিশ্বের ম্যাথ ক্লাব এর মত যেখানে বিশ্বসেরা গণিতবিদেরা আবেদন করেন যুক্ত হওয়ার জন্য এবং তার কাজ কর্ম বিবেচনায় তাকে সেই এলিট ক্লাবের অংশ করা হয়। নিকোলাস বোরবাকি ১৯৫০ সালে এই ক্লাবে যুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেন, তাকে না করার কোন কারণ ছিলনা ম্যাথমেটিকাল সোসাইটির কাছে। কিন্তু এরপরেও তিনি এই ক্লাবের অংশ হতে পারেননি। কারণ তিনি আসলে অস্তিত্বমান নন। ২০ বছর ধরে পুরো দুনিয়া বোরবাকির নামে ধোকা খেয়ে এসেছে। একটু পেছনে ফিরে যাওয়া যাক। ১৬ বছর পেছনে ১৯৩৪ সালে।ফ্রান্সের প্যারিসের École normale supérieure এর 5 জন স্টুডেন্ট লাতিন কোয়াটা

ডার্ক ওয়েব মিথ

মাহতাব মাহদী / তানভীর রানা রাব্বি ডার্ক ওয়েব নিয়ে আমরা সচারচরই অনেক কথা শুনে থাকি। কিন্তু আমরা, সার্ফেস ওয়েব, ডার্ক ওয়েব, ডিপ ওয়েবকে রীতিমত ভুল বুঝি। চলুন আগে সেটা খন্ডন করে আসা যাক।  সার্ফেস ওয়েব: সহজ কথায় সার্ফেস ওয়েব হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের যে অংশ গুগল, বিং এর মতো সার্চ ইঞ্জিনে আন্তর্ভুক্ত থাকে। যেগুলো আপনি গুগল, বিং এর মতো সার্চ ইঞ্জিন গুলো ব্যবহার করে খুঁজে বের করতে পারেন। worldwidewebsize.com -এর হিসাব মতে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত গুগল এবং রিং সার্চ ইঞ্জিনে মোট 5.63 বিলিয়ন ওয়েব পেইজ ইনডেক্স বা অন্তভুক্ত করা হয়েছে। সে হিসেবে সার্ফেস ওয়েবেব মোট সংগ্রহ এতটুকু বলা যেতে পারে, যেহেতু এরাই সবচেয়ে জনপ্রিয়। 5.63 বিলিয়ন কিন্তু কম নয়। তবে ধারণ করা হয়, এটা মোট ওয়েবের মাত্র ১০ শতাংশ। ডিপ ওয়েব: সহজ কথায় ডিপ ওয়েব হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের যে অংশ গুগল, বিং এর মতো সার্চ ইঞ্জিনে আন্তর্ভুক্ত থাকে না। অর্থাৎ এসব ওয়েব পেইজগুলো সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করা থাকে না। এখখ প্রশ্ন আসতে পারে “পেইজগুলো সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করে কে?” উত্তর হলো, যে ওয়েবসাইড ডেভেলপ করে। বিভিন্ন ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন টুল অফার কর