সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কল

-  ন্যাশনাল এমারজেন্সি সার্ভিস থেকে মাহমুদ বলছি। কিভাবে সাহায্য করতে পারি?

- “ ...খুন”

- দুঃখিত ম্যাডাম , আপনাকে ঠিকমত শুনতে পারিনি। আপনার সাহায্যের কারণটি আরেকবার বলবেন দয়া করে। 

- খুন হয়েছে। 

- দুঃখিত ম্যাডাম, আপনি কি একটি খুনের রিপোর্ট করতে চাচ্ছেন? 

- হ্যা। 

- আচ্ছা ম্যাডাম,  আপনি কোথায় আছেন ? আমরা সাহায্য পাঠাচ্ছি।

জানি না। 

- আপনি জানেন না আপনি কোথায় আছেন?

- হ্যা। 

- আপনার আশেপাশে কি কিছু লক্ষ্য করতে পারছেন?

- হ্যা। অন্ধকার। 

- ম্যাডাম আপনার আশেপাশে কেউ থাকলে তাকে একটু ফোনটা দিবেন দয়া করে। 

- আমি একা আছি। 

- ম্যাডাম, আপনার নাম কি?

- মাহিরা । মাহিরা  আলম।  

- তো মাহিরা, আপনি বলছিলেন একটা খুন হয়েছে। কিভাবে বুঝলেন? 

- আমি মেরে ফেলেছি। 

- আচ্ছা। 

- হ্যালো??

- জি মাহিরা, আপনি একটু ফোনে আমাদের সাথে কানেক্টেড থাকুন। আমি আপনাকে এখন বেশ কিছু প্রশ্ন করব। ভেবে চিন্তে সেগুলোর উত্তর দিবেন। 

- আচ্ছা।

- কে খুন হয়েছে? 

- মাহি।

- মাহি কে আপনি চেনেন?

- হ্যা।

- কে হয় আপনার সম্পর্কে?

- আমার হাসবেন্ড। 

- আচ্ছা। তো মাহির সাথে আসলে কি হয়েছিল?

- জানিনা।

- মাহি কি আপনার আশেপাশেই?

- না।

- আপনি জানেন মাহি কোথায়?

- জানিনা। এখানে অন্ধকার। 

- মাহিরা, ন্যাশনাল এমার্জেন্সি সার্ভিসে রাত দুটোর সময় কেউ মজা করে কল দিলে আমাদের জন্য সহ্য করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। 

- আমি মজা করছিনা। 

- মাহি, আপনার হাসবেন্ড , যাকে আপনি খুন করেছেন, তবে আপনি জানেননা তিনি কোথায়। আসলে কি হয়েছিল মাহিরা? খুলে বলুন। 

- মাহি অফিসে যাচ্ছিল, তার সাথে আমার ঝগড়া হয়েছিল । গতদিনেও লেট করে বাড়ি ফিরেছিল । ওকে মেরে ফেলেছি। 

- আচ্ছা মাহিরা , কোন শব্দ শুনতে পাচ্ছেন? 

- হ্যা। মনে হচ্ছে এম্বুলেন্স এর শব্দ। 

- আলো দেখতে পাচ্ছেন?

- হ্যা। লাল নীল আলো। মনে হয় পুলিশের । 

- জি মাহিরা। এখন আমি আপনাকে স্পষ্ট করে কিছু কথা বলব, খুব ভালো করে শুনবেন।

- আচ্ছা। 

- মেহু,  তোমাকে নিতে আমার বন্ধু রনি গিয়েছে। ওর সাথে অফিসে চলে এসো। একসাথে ডিনার করব আজকে । 

- না । 

- আচ্ছা বাবা প্রমিস, এরপর থেকে আর দেরী করব না অফিসের কাজে ! প্রমিস ! এখন তো অন্তত্ব্য আসো। যে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে। 

- আচ্ছা তবে তোমার লাশটা? 

- ওটা আপাতত ওখানেই থাক, পরে একসময় চুপিসারে সরিয়ে ফেলব। 








মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইনফার্টিলিটি ( infertility ): কেন জীব তার প্রতিরূপ তৈরি করে রেখে যেতে পারে না? প্রতিরোধ ও করণীয় ।

  ইনফার্টিলিটি ( infertility ): কেন জীব তার প্রতিরূপ তৈরি করে রেখে যেতে পারে না? প্রতিরোধ ও করণীয় ।  সব প্রজাতিই তার বংশধর রেখে যেতে চায়। মানুষ যেমন সন্তানের জন্ম দেয়, তেমন অন্যান্য প্রজাতিও দেয়। তবে , অনেক সময় তারা সন্তান জন্মদিতে সক্ষম হয়না। কেন হয়না, কি কারণ , কি করা উচিত তা নিয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করব। অর্থাৎ মানুষের ইনফার্টিলিটি নিয়ে বিস্তারিত থাকবে।  আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা সন্তান জন্মদিতে পারছেন না বা সক্ষম না। ইংরেজিতে একে বলা হয় , infertility বাংলায় বন্ধ্যাত্বতা। আমাদের মধ্যেও এই রোগে আক্রান্ত অনেকেই আছেন। শুধু আমেরিকাতেই ১০ - ১৫ % ( ১৫-৪৪ বছরের)  দম্পত্বি বন্ধ্যা বা ইনফার্টাইল। বাংলাদেশে একেবারে সিরিয়াস ভাবে সেরকম কেস স্ট্যাডি না হলেও, অনেকগুলো রিসার্চ এ পাওয়া গেছে, বাংলাদেশের বন্ধ্যাত্বতার রেট ৬% এর মত। পাশের দেশে ৭.৭% এর মত। সংখ্যাটা বিশাল। তো ইনফার্টিলিটি আসলে কি? “ যদি টানা এক বছর frequent, unprotected sex করার পরেও যদি কোন কাপল প্রেগনেন্ট না হন , তবে সেই কাপলটি ইনফার্টাইল”  ইনফার্টিলিটি হতে পারে দুইজনের একজনের কারণে...

Sea Navigation (তারা থেকে জি পি এস এর পথচলা)

  “If you want to learn to pray, go to sea.” —Portuguese proverb “...অথবা খুব বিশাল সমুদ্রের মাঝে, হারিয়ে যাওয়ার মত..." এভয়েড রাফার কষ্ট গানের এই লিরিক্স দিয়ে বোঝা যায়, কষ্ট আসলে সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়ার মত। 🙂 আপনার মনে কখনো প্রশ্ন জাগে না? যেখানে আমরা নিজেদের পাড়ার মধ্যেই হারিয়ে যাই, এই বিশাল সমুদ্র, মহাসমুদ্রে আমরা হারাই না কেন?  হারিয়েছিলাম একসময়। অনেক দক্ষ নাবিক, ক্রু, জাহাজ হারিয়েছিলাম। কিন্তু আস্তে আস্তে আমরা এই সমস্যা সমাধানের পথ বের করে নিয়েছি। সেটা অবশ্যই এক দিনে হয়নি, কয়েক শতাব্দি লেগেছে! ন্যাভিগেশন ব্যতীত, আমরা খুব সম্ভবত  সমুদ্রের কাছে হারিয়ে যাব। ন্যাভিগেশন প্রাচীন প্রাথমিক সভ্যতার পক্ষে নতুন দ্বীপ আবিষ্কার করা, বাণিজ্য রুট স্থাপন এবং বিশ্বের অন্য পাশের লোকের সাথে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়েছিল। ন্যাভিগেশন মৎস্যজীবীদের বিদেশের সমুদ্র বন্দরে নিরাপদে যাত্রা করার জন্য ও তাদের বাড়ি এবং বাণিজ্য জাহাজগুলি খুঁজে পাওয়ার সুবিধা দেয়। আজ, ন্যাভিগেশন অনেক নিখুত ও সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য ন্যাভিগেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে জাহাজ, বিমান এবং ট্রাককে নির্দেশ দিয়ে বৈশ্বি...

পাভলভের পরীক্ষার সত্যঃ আসলেই কি ধর্ষনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখা?

  “ Pavlov was a f***ing monster ! “  - Joe Scoot পাভলভের ১৪১ বছর পুরোনো একটা থিওরি আছে, যেটা দিয়ে  এখন বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ধর্ষনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হিসেবে জানে। জানারই কথা, যেখানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু সংবাদ পত্র ভুলকে সত্য বলে প্রকাশ করে, আমাদের পক্ষে আর তা কতটাই জানা সম্ভব? এই আর্টিকেলে আমি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব, আসলে পাভলভের তত্ব কি ছিল, আর তত্ব সম্পর্কে সত্যটাই বা কি?   পাভলভের তত্ব সম্পর্কে আমরা সাধারণ মানুষ কি মনে করি?  মানুষ ( বিশেষ করে বললে পুরুষ ) কুকুরের মানসিকতার।  মানুষের মধ্যে পশুত্ব আছে।  আমাদের মন ৩ টা সত্বা দ্বারা গঠিৎ! ( ইড, ইগো এবং সুপার ইগো )  ক্রমাগত রিপিটেশনের মাধ্যমে রিফ্লেক্স অর্জন করা যায়।    এবং, আপনার এসব ধারণা ভুল প্রমানিত হতে যাচ্ছে এই আর্টিকেলে।  কুকুরেরা মানুষের খুব ভালো বন্ধু, লয়াল । বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। এমনই কিছু কুকুর ইভান পাভলভ স্যারেকে সাহায্য করেছিল , মানুষের ব্রেন ও মনস্তাত্বিকতা নিয়ে জানতে। :) কুকুর পোষেন ? কুকুরেরা অনেক সুন্দর না? তো পাভলভ সাহেব একদিন করলেন কি, একদল...