সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

লিনা ম্যাডিনার মা হওয়াঃ মেডিকেল ইতিহাসের এক আনসলভড কেস।




মাত্র ৫ বছর ৭ মাস বয়সে মা হন লিনা। ছোট বেলায় তার বয়স যখন ৫ বছরের কাছাকাছি,তখন তার পেট বাড়তে থাকে। পরের কয়েকমাসে তার পেট অনেক ফুলে ওঠে। মা বাবারা মনে করেছিলেন এটা কোন টিউমার। তাই তারা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখেন তার পেটে সাত মাসের বাচ্চা!




ডাক্তার জেরার্ডো লিনার ট্রিটমেন্ট করেছিলেন। তিনি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে অন্য ডাক্তারদের কাছে এর কারণ জানতে চান। কিন্তু কেউই এর কোন সঠিক ব্যখ্যা দিতে পারেন নি। অবশেষে লিনার বাচ্চা হয়। ২.৭ কেজি ওজনের ওই বাচ্চা জন্মের পর সম্পূর্ন সুস্থ্য ছিল।তার নাম রাখা হয় লিনার ট্রিটমেন্ট করা ডাক্তার জেরার্ডোর নামে।




প্রথমে এটাকে FIF কেস বা ফিটাস ইন্টু ফিটাস বলে দাবি করা হয়। কিন্তু ডাক্তার জেরার্ড কিছু রিপোর্ট বের করেন। লিমার ৫ বছর বয়সেই পিরিয়ড শুরু হয়েছিল! এবং তার সম্পূর্ন প্রজনোন অঙ্গ এর গঠন সম্পূর্ন হয়ে গিয়েছিল। ডা জেরার্ড এর উপর ভিত্তি করে লিনার বাবা ও ভাইয়ের উপরে কেস করেন। তবে যথাপোযোক্ত প্রমান না থাকায় ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।




এদিকে লিনার ছেলেকে লিনার ভাই হিসেবে তার গ্রামে রাখা হয়। লিনা নিজেও জানত না আসলে তাকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে কি না। তবে তার ছেলে ১০ বছর বয়সে জানতে পারে,এতদিন ধরে বোন হিসেবে জেনে আসা লিমাই হচ্ছে তার মা। ৪০ বছরের মত সময়ে অস্থিমজ্জার সমস্যার কারনে লিমার ছেলে মারা যায়।




এদিকে লিমার কেস নিয়ে অনেক মেডিকেল জার্নালে প্রকাশ হয়। অনেক গবেষনা হয়। কেউ বলে তাকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে,কেউ বলেন এটা FIF কেস। কিছুদিন পরে ডা জেরার্ডের এক সহকর্মী আরেকটা তথ্য প্রকাশ করেন। 




লিমার পাশের দুই গ্রামে এরকম কম বয়সে মা হওয়ার রেকর্ড আছে। তার মত এত কম বয়সে না হলেও দুটো কেসই যে ১৫ বছরের কম তা প্রকাশ করেন।অবশ্য নাম প্রকাশ করেন নি।




শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন মেডিকেল জার্নাল একে আনসলভড বলে গন্য করেন।তবে লিমার এক প্রতিবেশী জানান তাদের গ্রামে হওয়া বার্ষিক এক অনুষ্ঠানে সেবার অনেক মেয়েই হয়রানির শিকার হয়েছিল। হতে পারে লিমাও তার শিকার। পেরুর মিডিয়া গুলোতে এ নিয়ে লেখা ছাপানো হয়। উইকিপিডিয়াতেও এটাকে FIF কেস বলে গন্য করা হয়নি।




লিমা ছাড়া আরো ৫ টা মায়ের ছবি দেয়া আছে।তাদের মা হওয়ার বয়স ও দেয়া আছে।লিমার পরে ম্যাক্সিকোর এক মেয়ে ৬ বছর বয়সে মা হয়েছে। সবগুলো কেসই আমেরিকা মহাদেশের একমাত্র ইন্ডিয়ান ৮ বছরের একটা মেয়ের মা হওয়ার কেস ছাড়া। ডাক্তাররা বলেছেন অতিরিক্ত পিটুইটারি হরমোন নিসৃত হওয়ার কারনে তারা এত তাড়াতাড়ি প্রজনন ক্ষমতা লাভ করেছেন। কিন্তু কেন তার কারণ বলতে পারেননি।    এই কেসের বিষয়ে কেউ প্রমান সহ কিছু বলতে পারেননি। লিমা পরবর্তিতে বিয়েও করেন এবং তার ২য় সন্তানের মা হন।




(মাহতাব মাহদী নিহাল)




অনেক রাতে লিখেছি,ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করে দেবন। এটাতে একেবারে থ্রুলি জানানোর জন্য দিয়েছি যাতে ভুল ভ্রান্তি গুলো দূর হয়। ছবি গুলো ইন্টারনেট থেকে কালেক্ট করা।




তথ্যসূত্রঃ ডা জেরার্ডের সাক্ষাৎকার, লিনার মেডিকেল রিপোর্ট,উইকিপিডিয়া, ইউটিউব।


      


কোন ভুল থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন।প্রতিটি মতামতই অন্যন্ত গুরত্বপূর্ন।







মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইনফার্টিলিটি ( infertility ): কেন জীব তার প্রতিরূপ তৈরি করে রেখে যেতে পারে না? প্রতিরোধ ও করণীয় ।

  ইনফার্টিলিটি ( infertility ): কেন জীব তার প্রতিরূপ তৈরি করে রেখে যেতে পারে না? প্রতিরোধ ও করণীয় ।  সব প্রজাতিই তার বংশধর রেখে যেতে চায়। মানুষ যেমন সন্তানের জন্ম দেয়, তেমন অন্যান্য প্রজাতিও দেয়। তবে , অনেক সময় তারা সন্তান জন্মদিতে সক্ষম হয়না। কেন হয়না, কি কারণ , কি করা উচিত তা নিয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করব। অর্থাৎ মানুষের ইনফার্টিলিটি নিয়ে বিস্তারিত থাকবে।  আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা সন্তান জন্মদিতে পারছেন না বা সক্ষম না। ইংরেজিতে একে বলা হয় , infertility বাংলায় বন্ধ্যাত্বতা। আমাদের মধ্যেও এই রোগে আক্রান্ত অনেকেই আছেন। শুধু আমেরিকাতেই ১০ - ১৫ % ( ১৫-৪৪ বছরের)  দম্পত্বি বন্ধ্যা বা ইনফার্টাইল। বাংলাদেশে একেবারে সিরিয়াস ভাবে সেরকম কেস স্ট্যাডি না হলেও, অনেকগুলো রিসার্চ এ পাওয়া গেছে, বাংলাদেশের বন্ধ্যাত্বতার রেট ৬% এর মত। পাশের দেশে ৭.৭% এর মত। সংখ্যাটা বিশাল। তো ইনফার্টিলিটি আসলে কি? “ যদি টানা এক বছর frequent, unprotected sex করার পরেও যদি কোন কাপল প্রেগনেন্ট না হন , তবে সেই কাপলটি ইনফার্টাইল”  ইনফার্টিলিটি হতে পারে দুইজনের একজনের কারণে অথবা দুইজনের কারণেই। রে

একজন অস্তিত্বহীন গনিতজ্ঞ

 Structures are the weapons of the mathematician. — Nicolas Bourbaki উপরের কথাটি বলেছেন ফ্রান্সের একজন গনিতবিদ। নিকোলাস বোরবাকি। সারাবিশ্বে অনেক পরিচিত এই গণিতবিদ। টপ ২৫ গণিতবিদের একজন। তার লেখা বই , থিওরি এখনো ব্যাবহার হয় বিশ্বের অনেক জায়গায়। তবে তাকে নিয়ে লোকজনের শুধু একটাই ছোট্ট সমস্যা। সেটা হচ্ছে, এই মানুষটার আসলে কোন অস্তিত্ব নেই। মানে, নিকোলাস বোরবাকি নামে যে বিশ্বসেরা গণিতবিদ , উনি আসলে নেই। আমেরিকান ম্যাথমেটিকাল সোসাইটি হল বিশ্বের সেরা গণিত সংগঠনের মধ্যে একটা। অনেকটা বিশ্বের ম্যাথ ক্লাব এর মত যেখানে বিশ্বসেরা গণিতবিদেরা আবেদন করেন যুক্ত হওয়ার জন্য এবং তার কাজ কর্ম বিবেচনায় তাকে সেই এলিট ক্লাবের অংশ করা হয়। নিকোলাস বোরবাকি ১৯৫০ সালে এই ক্লাবে যুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেন, তাকে না করার কোন কারণ ছিলনা ম্যাথমেটিকাল সোসাইটির কাছে। কিন্তু এরপরেও তিনি এই ক্লাবের অংশ হতে পারেননি। কারণ তিনি আসলে অস্তিত্বমান নন। ২০ বছর ধরে পুরো দুনিয়া বোরবাকির নামে ধোকা খেয়ে এসেছে। একটু পেছনে ফিরে যাওয়া যাক। ১৬ বছর পেছনে ১৯৩৪ সালে।ফ্রান্সের প্যারিসের École normale supérieure এর 5 জন স্টুডেন্ট লাতিন কোয়াটা

ডার্ক ওয়েব মিথ

মাহতাব মাহদী / তানভীর রানা রাব্বি ডার্ক ওয়েব নিয়ে আমরা সচারচরই অনেক কথা শুনে থাকি। কিন্তু আমরা, সার্ফেস ওয়েব, ডার্ক ওয়েব, ডিপ ওয়েবকে রীতিমত ভুল বুঝি। চলুন আগে সেটা খন্ডন করে আসা যাক।  সার্ফেস ওয়েব: সহজ কথায় সার্ফেস ওয়েব হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের যে অংশ গুগল, বিং এর মতো সার্চ ইঞ্জিনে আন্তর্ভুক্ত থাকে। যেগুলো আপনি গুগল, বিং এর মতো সার্চ ইঞ্জিন গুলো ব্যবহার করে খুঁজে বের করতে পারেন। worldwidewebsize.com -এর হিসাব মতে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত গুগল এবং রিং সার্চ ইঞ্জিনে মোট 5.63 বিলিয়ন ওয়েব পেইজ ইনডেক্স বা অন্তভুক্ত করা হয়েছে। সে হিসেবে সার্ফেস ওয়েবেব মোট সংগ্রহ এতটুকু বলা যেতে পারে, যেহেতু এরাই সবচেয়ে জনপ্রিয়। 5.63 বিলিয়ন কিন্তু কম নয়। তবে ধারণ করা হয়, এটা মোট ওয়েবের মাত্র ১০ শতাংশ। ডিপ ওয়েব: সহজ কথায় ডিপ ওয়েব হলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের যে অংশ গুগল, বিং এর মতো সার্চ ইঞ্জিনে আন্তর্ভুক্ত থাকে না। অর্থাৎ এসব ওয়েব পেইজগুলো সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করা থাকে না। এখখ প্রশ্ন আসতে পারে “পেইজগুলো সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করে কে?” উত্তর হলো, যে ওয়েবসাইড ডেভেলপ করে। বিভিন্ন ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন টুল অফার কর